চায়ের কাপে এক চুমুক । ব্যাস শরীরের ক্লান্তি নিমেষেই দূর ! চায়ের মাহাত্ম্য তো এখানেই । এক কাপ চা নাহ হলে সকালটাই শুরু করতে পারেন নাহ অনেকে । সকালের দৈনিক পত্রিকার সঙ্গে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপটা লাগবেই । সকালে একবার, অফিসে এসে একবার চা পান করেই কাজ শুরু করেন প্রায় সবাই । শুধু সকাল কেন, অফিসে কাজ করতে করতে কিংবা বিকেলে অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যার আড্ডা অথবা আয়েশ করে টিভি দেখা – সেটাও কি চা ছাড়া চলে ? বাংলাদেশের কোথায় চায়ের দোকান নেই ? শহরের অলিগলির মোড়ে মোড়ে চা, পাড়ার দোকানে চা, মহাসড়কের পাশে চা, গঞ্জে চা, রাজনীতিতে চা, এমনকি নির্বাচনী আমেজেও চা ছাড়া যেনো তক্কাতক্কিটা ঠিক জমে নাহ । শীত, বর্ষা কিংবা গরম সব মৌসুমেই চায়ের কদর সমান তালে চলে । পরিবারের সবার কাছেই এক কাপ চা যেন প্রশান্তির, অনেক ভালো লাগার । হয়তো কোনো চা দামি কাপের আড্ডায় ঝড় তোলে আবার কোনো চা রসআড্ডার সাথে জীবনের চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মিলাতে নাহ পারা কোনো যুবকের স্ট্রাগলের কথা বলে । দুনিয়ার সবচেয়ে গণতান্ত্রিক এক পানীয়, এই চা ! আর তাই তো কোনো খাদ্যাভ্যাস যখন প্রাত্যহিক হয়ে ওঠে, জীবনযাপনের অংশ হয়ে ওঠে, তখন একে কেন্দ্র করে সংস্কৃতিও গড়ে ওঠে । চীন বা জাপানের মতো দেশে চায়ের যে সংস্কৃতি কয়েক হাজার বছর ধরে গড়ে উঠেছে, সে তুলনায় আমাদের চা পান সংস্কৃতি হয়তো বেশি দিনের নয় । আমাদের দেশে হয়তো নোবেল বিজয়ী জাপানি সাহিত্যিক য়াসুনারি কাওয়াবাতার মতো চা পানের আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে হাজার উপন্যাস লেখা হয়নি । কিন্তু এ দেশেও নিজেদের মতো করে চা পানের এক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে । নানা ধরনের চায়ের স্বাদ নেয়া, চা তৈরি বা পরিবেশন, সবকিছু মিলিয়েই গড়ে উঠেছে আমাদের ‘চা সংস্কৃতি’। যেনো এক কাপ চায়েই লুকিয়ে আছে জীবনের জয়ধ্বনি, আবেগ, অনুভূতি, আনন্দ কিংবা উল্লাস । আর তাই তো চায়ের প্রতি বাঙালির বিপুল আগ্রহ দেখে এই মুহূর্তে বলাই যায়- চা মানে জীবনটা একদম ভরপুর ।
সেই রেশ ধরেই “ডিকোম্পানী” নিয়ে এল সরাসরি বাগান থেকে নিজস্ব লোক দ্বারা প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত দানাদার চা-পাতা ।
Reviews
There are no reviews yet.